Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

মাঠপর্যায়ে সার অপব্যবহার : ফসল উৎপাদন ও অর্থনৈতিক ক্ষতি

মাঠপর্যায়ে সার অপব্যবহার : ফসল
উৎপাদন ও অর্থনৈতিক ক্ষতি
ড. মো: এনামুল হক
বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এ দেশের মাটি বিভিন্নভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ায় মাটির ভৌত গঠনে অবনতি, মাটির জৈব উপাদান এবং উর্বরাশক্তি হ্রাস পাচ্ছে। জমিতে রাসায়নিক সার, কীটনাশক, বালাইনাশক এবং আগাছানাশকের ব্যবহার প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা জমিতে বিভিন্ন ফসল আবাদ করি কিন্তু জমির মাটির স্বাস্থ্য সম্পর্কে খুব বেশি সচেতন নই। মৌসুম, ফসল ও জমিভেদে সারের ব্যবহার ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। মাটি পরীক্ষা করে অথবা গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলের আলোকে সরকার নির্ধারিত মাত্রায় ফসলের চাহিদা অনুযায়ী জমিতে সুষম সার ব্যবহার করলে একদিকে যেমন জমির মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকে অন্যদিকে খরচ সাশ্রয় হয় এবং ফসলের ফলন বেড়ে যায়। জমিতে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সার ব্যবহার করলে ফসল আবাদের খরচ বেড়ে যায়, আবার বেশি পরিমাণ সার আমদানি ও কৃষকদের নিকট সস্তায় বিক্রয়ের জন্য ভর্তুকি বাবদ প্রচুর পরিমাণে অর্থ ব্যয় করতে হয়। এ ছাড়াও অব্যবহৃত সার বৃষ্টি অথবা সেচের পানির সাথে মিশে গিয়ে পানি, মাটি, বায়ু তথা পরিবেশ দূষিত করে। পর্যাপ্ততা, সহজলভ্যতা ও দ্রুত সময়ে রিপোর্ট প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা এবং মাটি পরীক্ষা করে ফসলে সার ব্যবহারের সুফলের ব্যাপারে কৃষকরা অসচেতন হওয়ার কারণে আমাদের দেশের অধিকাংশ কৃষকরা নিজের অভিজ্ঞতার আলোকেই জমিতে সার ব্যবহার করে থাকেন।
সারের ভর্তুকি
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি সারে ব্যাপক হারে ভর্তুকি প্রদান করে কৃষকদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে সার প্রাপ্তি নিশ্চিত করে আসছে। বিগত বছরসমূহে প্রতি বছর সার বাবদ সরকার প্রায় ৯,০০০ কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করেছে। সারের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য এবং চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে গত বছর বাংলাদেশ সরকারের এই খাতে ভর্তুকির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৩০,০০০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। আমাদের দেশের ব্যবহৃত সার অধিকাংশই বিদেশ হতে বৈদেশিক মুদ্রায় আমদানি করতে হয়। সুষম সার পরিমিত মাত্রায় ব্যবহার না করার ফলে একদিকে যেমন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অন্য দিকে সরকারের ব্যাপক পরিমাণ টাকা অপচয় যাচ্ছে। সারের অপচয় রোধ করে ফসলের কাক্সিক্ষত ফলন প্রাপ্তিতে সুষম সার পরিমিত পরিমাণে ব্যবহার কৃষকপর্যায়ে জনপ্রিয় করা গেলে সারের অপচয় তথা এ খাতে ভর্তুকির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস করা যাইতে পারে।  
পরিমিত মাত্রায় সুষম সারের ব্যবহার গবেষণা প্রকল্প
অস্ট্রেলিয়ার দাতা সংস্থা অঈওঅজ এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের যৌথ অর্থায়নে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, মৃত্তিকা স¤পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি সুরক্ষা সেবাদানকারী সংগঠন, বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন, পিআইও কনসালটিং লি: এবং অস্ট্রেলিয়ার মারডক বিশ্ববিদ্যালয় এর যৌথ উদ্যোগে ফসলে পরিমিত মাত্রায় সুষম সার ব্যবহারে গবেষণা ও ব্যবস্থাপনার উপর একটি প্রকল্প ঘঁঃৎরবহঃ গধহধমবসবহঃ ভড়ৎ উরাবৎংরভরবফ ঈৎড়ঢ়ঢ়রহম রহ ইধহমষধফবংয (ঘটগঅঘ) বাস্তবায়ন করে। এ প্রকল্পের এলাকাসমূহ হচ্ছে- ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলা, নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলা, রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর ও গোদাগাড়ী উপজেলা, ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলা, শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলা, খুলনা জেলার দাকোপ ও ডুমুরিয়া উপজেলা, বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলা এবং পটুয়াখালী উপজেলার দুমকি উপজেলা। ২০১৮ সাল হতে আমন ধান, বোরো ধান, আউশ ধান, গম, ভুট্টা, মসুর, মুগ, সরিষা, ছোলা, বাদাম, সুর্যমুখী, আলুসহ বিভিন্ন ফসলের উপর পরীক্ষামূলক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো-
(১) ফসল আবাদে জমিতে পরিমিত ও লাভজনক মাত্রায় সুষম সার প্রয়োগ ও ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে ফসল আবাদ করা;
(২) জমির মাটি পরীক্ষা করে অথবা বাংলাদেশ সরকারের অঞ্চলভিত্তিক সার সুপারিশমালা (এফআরজি) ব্যবহার করে ফসল আবাদে কৃষকদের আগ্রহী ও অভ্যস্ত করা;
(৩) বাংলাদেশ সরকারের অঞ্চলভিত্তিক সার সুপারিশমালা (এফআরজি) কৃষকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া;
(৪) স্থানীয় ব্লক বা সাব-ব্লক পর্যায়ে কৃষকদের সংগঠিত করে ঐ ব্ল­কের মৌসুমভিত্তিক ফসল/জাত নির্বাচন করে গ্রুপভিত্তিক ফসল আবাদ ও পরিচর্যা কর্মকা- পরিচালনা করা;
(৫) সর্Ÿোপরি ফসল আবাদে নিবিড়তা এবং উৎপাদন ও ফলন বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষকদের আর্থসমাজিক অবস্থার উন্নয়ন সাধন করা।
ঘটগঅঘ প্রকল্পের প্রাপ্ত ফলাফল
জমিতে সারের প্রকৃত প্রয়োজনীয়তা ও কৃষক পর্যায়ে সারের ব্যবহার : ঘটগঅঘ প্রকল্পের অধীনে উল্লিখিত উপজেলাসমূহের বিভিন্ন ব্লকে ২০১৮ সাল হতে ফসল আবাদে সারের সঠিক মাত্রা নির্ধারণে ৫০০ টিরও অধিক কৃষকের মাঠে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এছাড়াও প্রকল্প এলাকার ৭৫০ জন কৃষককে দৈবচয়ন ভিত্তিতে নির্বাচন করে ঐ সব             কৃষকদের সার ব্যবহারের পরিমাণ, পদ্ধতি ও ধারণা সম্পর্কে বিস্তৃত পরিসরে জরিপ তথা গবেষণা কার্যক্রম পরিচলনা করা হয়। উভয় গবেষণায় প্রতীয়মাণ হয় যে কৃষি অঞ্চল, ফসলের শ্রেণী ও মৌসুম, শস্যবিন্যাস, কৃষকের অর্থনৈতিক অবস্থা ও কৃষি জমির মালিকানার পরিমাণ, পরিবার প্রধানের জেন্ডার পার্থক্য ইত্যাদির উপর সারের ব্যবহার ও পরিমাণ বহুলাংশে নির্ভর করে।
পরিমিত মাত্রায় সুষম সার ব্যবহারের সুফল : পরিমিত মাত্রায় সুষম সার ব্যবহারের সুফল কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে ঘটগঅঘ প্রকল্প বাংলাদেশের বিভিন্ন উপজেলার            কৃষকদের মাঠে বিভিন্ন ফসলের উপর ব্যাপক সংখ্যক প্রদর্শনী ট্রায়াল স্থাপন করে। যে কোন ফসলের প্রতিটি প্রদর্শনী ট্রায়াল মাঠ ২ (দুই) ভাগে ভাগ করা হয়। এক অংশে কৃষকের ব্যবহৃত সারের মাত্রা ও ধরন প্রয়োগ করা হয়। অন্য অংশে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল কর্তৃক প্রকাশকৃত সার সুপারিশমালা গাইড ২০১৮ (এফআরজি) অনুসৃত সারের মাত্রা ও ধরন ব্যবহার করে ফসল আবাদ করা হয়। ফসল কাটার সময় ঐ এলাকার অন্যান্য কৃষকদের নিয়ে মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়। ট্রায়ালের উভয় অংশের ফসল আলাদা-আলাদাভাবে আহরণ করা হয় এবং উৎপাদিত ফসলের ফলন, উভয় পদ্ধতিতে সার বাবদ খরচ ও লাভ-লোকসানের হিসেব করা হয়।
ট্রায়ালের ফলাফল প্রমাণ করে যে, ফসল এবং কৃষকভেদে সার সুপারিশমালা গাইড ২০১৮ ব্যবহার করলে কৃষকের ব্যবহৃত সারের মাত্রা ও প্রকার হতে প্রতি ১ (এক) হেক্টরে প্রতি মৌসুমে টাকা ৩,০০০-৯,৩০০ সার বাবদ খরচ সাশ্রয় করা যায়। ফলনও হেক্টর প্রতি প্রায় ৪৮০-৬২০ (আমন ধান) কেজি বেশি পাওয়া যায়। এফআরজি অনুসৃত সারের মাত্রা ব্যবহারের ফলে ধান আকারে পুষ্ট হয় এবং উজ্জ্বল রং ধারণ করায় কৃষক ঐ ধান বিক্রয়ের সময় মণপ্রতি অতিরিক্ত টাকা ৫০-১০০ বেশি পায়।
ট্রায়ালের ফলাফল নিশ্চিত করে যে, আমন ধান-বোরো ধান - পতিত শস্য পরিক্রমায় আমন ধান আবাদে দুর্গাপুর, ডুমুরিয়া, গোদাগাড়ী, আমতলী ও সদর-ঠাকুরগাঁও এর কৃষকরা ইউরিয়া সার এফআরজি নির্দেশিত মাত্রার থেকে  প্রতি হেক্টরে যথাক্রমে ৩০, ৪৮, ৩৮, ২৬ ও ৩৮ কেজি বেশি মাত্রায় ব্যবহার করে। অন্য দিকে সৈয়দপুর এবং সদর-ময়মনসিংহ এলাকার কৃষকরা হেক্টরপ্রতি ৯ কেজি হারে কম ব্যবহার করে। কিন্তু টিএসপি সার ব্যবহারের ক্ষেত্রে দুর্গাপুর, ডুমুরিয়া, গোদাগাড়ী, সৈয়দপুর, আমতলী ও সদর-ঠাকুরগাঁও আমতলী, সৈয়দপুর, ডুমুরিয়া, দাকোপ, ঠাকুরগাঁও ও সদর-ময়মনসিংহ এলাকার কৃষকরা এফআরজি নির্দেশিত মাত্রার তুলনায় প্রতি হেক্টরে যথাক্রমে ৮৮, ৭৭, ২৭, ৫৭, ৭১ ও ৯৩ কেজি বেশি পরিমাণ ব্যবহার করে।  ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার অধিকাংশ কৃষকরা প্রয়োজনের তুলনায় অধিক মাত্রায় পটাশ ও জিঙ্ক সার ব্যবহার করলেও অন্য সব এলাকার কৃষকরা নগণ্য মাত্রায় পটাশ, জিপসাম, বোরন ও জিঙ্ক সার ব্যবহার করে থাকে। পরিমিত মাত্রায় সুষম সার ব্যবহার না করার ফলে             কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন এবং ফসলের কাক্সিক্ষত ফলন পাচ্ছেন না।
সার অপব্যবহারের প্রধান কারণসমূহ
ঘটগঅঘ প্রকল্পের গবেষণায় প্রমাণ হয় যে, সুষম ও পরিমিত সার ব্যবহারের উপকারিতা স¤পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা না থাকার কারণে আমাদের দেশের কৃষকরা সুষম ও পরিমিত মাত্রায় সার ব্যবহারে উদাসীন। অধিকাংশ কৃষক তাঁদের নিকটস্থ কৃষক ও স্থানীয় সার বিক্রেতার পরামর্শ মোতাবেক এবং তাঁর নিজস্ব অভিজ্ঞতার আলোকে জমিতে সার প্রয়োগ করে থাকেন। বাজারে অধিকাংশ সারের পর্যাপ্ত জোগান এবং সরকারি ভর্তুকির মূল্যে দামে সস্তা হওয়ার কারণে অনেক কৃষক বেহিসাবি মাত্রায় বেশি পরিমাণ সার ব্যবহার করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ টিএসপি সারের পর্যাপ্ত জোগান এবং তুলনামূলক দামে সস্তা হওয়ার কারণে বিগত কয়েক বছরে কৃষকপর্যায়ে এই সারের ব্যবহার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।  
সার সুপারিশমালা গাইড (এফআরজি) ভিত্তিক সার সুপারিশমালা কার্ড বিতরণ এবং ব্যবহার : বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল প্রতি ৫ (পাঁচ) বছর পর-পর বাংলাদেশের কৃষি অঞ্চলভিত্তিক সার সুপারিশমালা গাইড (এফআরজি) প্রকাশ করে থাকে। ২০১৮ (এফআরজি) অনুসৃত সারের মাত্রা কৃষকদের মাঝে ব্যাপক আকারে প্রচলন করার জন্য ঘটগঅঘ প্রকল্প ২০২০ সালের শুরুতে কৃষক ব্যবহার বান্ধব, সহজ ও সাবলীল ভাষায়, তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্যে জনসচেতনতার কার্যক্রম নেয়। প্রায় পরবর্তী ৫ (পাঁচ) বছর সংরক্ষণ ও স্থানীয় পর্যায়ে প্রধান-প্রধান শস্য পরিক্রমায় কৃষি অঞ্চলভিত্তিক ব্যবহার উপযোগী ১ পাতার এফআরজি কার্ড তৈরি করে। প্রকল্পের পার্টনার, পিআইও কনসালটিং লিঃ এর সরাসরি তত্ত্বাবধানে কৃষি সুরক্ষা সেবাদানকারী সংগঠনের সার্বিক সহযোগিতায় প্রকল্পের ৮ (আট) উপজেলায় বাড়ি-বাড়ি গিয়ে কৃষক পরিবারের সকল সদস্যদের মাঝে পরিমিত মাত্রায় সুষম সার ব্যবহারের সুফল এবং এফআরজি কার্ড ব্যবহার পদ্ধতির সংক্ষিপ্ত সময়ের প্রশিক্ষণ প্রদান করে মোট ৩৪,০০০ কৃষক পরিবারকে এফআরজি কার্ড বিতরণ করা হয়।
সার সুপারিশমালা কার্ড ব্যবহার জনপ্রিয়করণ : বিভিন্ন মৌসুমের পূর্বে কার্ড বিতরণ পরবর্তী এবং ফসল আবাদকালীন সময়ে প্রত্যেক কৃষকের সাথে ব্যক্তিপর্যায়ে একাধিকবার সাক্ষাৎ, মাঠ দিবসে আমন্ত্রণ, মোবাইল ফোনে সরাসরি যোগাযোগ করা হয়। এসএমএস, ভয়েজ মেইল, ইমো, হোয়াটস্আপ, ফেইসবুক ইত্যাদি পদ্ধতি ব্যবহার করে এফআরজি কার্ড মোতাবেক সার ব্যবহারের পরামর্শ প্রদান করা হয়। বার-বার ও সহজে পরামর্শ পাওয়ায় কৃষকরা এফআরজি কার্ড ব্যবহারে আগ্রহী হয় ও আস্থা তৈরি হয়। প্রথম মৌসুমে কৃষকরা স্বল্প পরিমাণ জমিতে এফআরজি কার্ড ব্যবহার করে আশানুরূপ ফলন পায় এবং লাভ বেশি হওয়ায় পরবর্তীতে কৃষকরা তাদের প্রায় সকল জমির ফসলে  এফআরজি কার্ড মোতাবেক সার ব্যবহার করেন।
কৃষকপর্যায়ে সার সুপারিশমালা কার্ড ব্যবহারের সুফল মূল্যায়ন : ২০২২ সালের শেষের দিকে এফআরজি কার্ড ব্যবহারের ফলাফল তথা- কৃষকের লাভ/ক্ষতি, সুবিধা-অসুবিধা ইত্যাদি বিষয়ে বিভিন্ন উপজেলার ১,৫০০ জন কৃষকের মাঝে মূল্যায়ন জরিপ পরিচালনা করা হয়। উক্ত জরিপের ফলাফলে দেখা যায় যে প্রায় ১০০% কৃষক এফআরজি কার্ড ব্যবহার করে বিগত মৌসুমে ফসল আবাদ করেছেন; ৮৪% কৃষক এফআরজি কার্ড ব্যবহারে সারের পরিমাণ এবং খরচ সাশ্রয় এবং ফসলের ফলন বৃদ্ধি পায় বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন; ৯৭% কৃষক এফআরজি কার্ড ব্যবহার করা সহজ এবং ভবিষ্যতে তাঁরা ব্যবহার করার পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
ঘটগঅঘ প্রকল্পের গবেষণার আলোকে নির্বাচিত উপজেলায় সারের অপব্যবহারে আনুমানিক ক্ষতির হিসাব
ঘটগঅঘ প্রকল্পের গবেষণলদ্ধ ফলাফলকে ভিত্তি ধরে দুর্গাপুর, ডুমুরিয়া, গোদাগাড়ী, সৈয়দপুর, আমতলী, সদর-ময়মনসিংহ এবং সদর-ঠাকুরগাঁও উপজেলাসমূহের কৃষকরা শুধুমাত্র আমন ধান আবাদে জন্য প্রতি মৌসুমে প্রয়োজনের অতিরিক্ত আনুমানিক  ৪,০৯২ টন ইউরিয়া এবং ১১,০৩২ টন টিএসপি সার ব্যবহার করে। এতে ঐ এলাকার কৃষকদের সার বাবদ অপচয় হয় আনুমানিক প্রায় ৩৬.৫৯ কোটি টাকা। সরকারি ভর্তুকি বাবদ আনুমানিক অপচয় হয় ১৩৪.৭৮ কোটি টাকা (সারণি-২)। পরিমিত মাত্রায় সুষম সার ব্যবহার না করার কারণে কৃষক তথা আমাদের দেশ কেবলমাত্র উল্লিখিত ৭টি উপজেলায় প্রতি মৌসুমে আনুমানিক ৯৭,৮৬৩ মেট্রিক টন আমন ধান কম উৎপাদন হচ্ছে বলে ধারণা  করা হচ্ছে, যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ২৯৩.৫৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতি আমন মৌসুমের আনুমানিক সর্বমোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৬৪.৯৬ কোটি টাকা (সারণি-২ ও সারণি-৩ দ্রষ্টব্য)।

লেখক : এডজাঙ্কট অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, মারডক ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়া এবং ডেপুটি লিডার নোমান অ্যান্ড কনজারভেশন। মোবাইল : ০১৭৫৫৫২০০৮৬, ই-মেইল :e.haque@murdoch.edu.au


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon